উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫/১১/২০২২ ৭:১২ পিএম

বিভাগীয় শহরগুলোতে একের পর এক সমাবেশ করতে থাকা বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এখন ছাড় দিচ্ছি, ডিসেম্বরে ছাড়বো না। মুক্তিযুদ্ধের মাসে রাজপথ বিএনপির থাকবে না, থাকবে আওয়ামী লীগের। এই রাজপথ মুক্তিযুদ্ধের রাজপথ, বিজয়ের মাসের রাজপথ, বিজয়ের চেতনার রাজপথ।’

শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বাড্ডা ইউলুপে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ শান্তিমিছিল করে। এর আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশ শেষে দেশব্যাপী বিএনপির ‘নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে’ এই শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাড্ডা ইউলুপে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে ওবায়দুল কাদের
বাড্ডা ইউলুপে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে ওবায়দুল কাদের

এ সময় বিএনপিকে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামনে ডিসেম্বর মাস। আপনারা নাকি শেখ হাসিনাকে হটিয়ে খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসবেন? ইরানের ইমাম খোমনি স্টাইলে ঢাকার রাজপথে বিপ্লব ঘটাবেন? জনতার শক্তির কাছে আপনাদের এই রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উবে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা ভুলে যান। নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়কের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে ফেলেন। এটি আর হবে না। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সর্বোচ্চ আদালত নিষিদ্ধ করেছে। আমাদের কোনও দোষ নেই। ওইটা জাদুঘরে চলে গেছে।’

ডিসেম্বর মাসে ‘খেলা হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে মোকাবিলা হবে, আন্দোলনে হবে। আগামীতে নির্বাচনে হবে। ভোট চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে খুনিদের বিরুদ্ধে, ১৫ আগস্টের খুনিদের বিরুদ্ধে, ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপির বিরুদ্ধে।’

ঢাকার শান্তি সমাবেশ জনস্রোতে পরিণত হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে এসে বরিশালে বিএনপির সমাবেশের কথা ভাবছি। তারা টাকা দিয়ে ছয় জেলার লোক নিয়ে দুই-চার দিন আগে থেকে বরিশালে জমায়েত করেছে। আর ঢাকায় আমাদের এখানে ছয় থানার লোক, যা বরিশালের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আমার সামনে মিছিলের মাথা কোথায় জানি না। পেছনের মাথা আমেরিকান দূতাবাস পর্যন্ত গেছে। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, তারা এখানেই থাকে। তারা দেখুন কার কত শক্তি।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা একেএম রহমত উল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিপ্লব বড়ুয়া, এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।

ছবি: ফোকাস বাংলা।

পাঠকের মতামত

ইসকন নিষিদ্ধ হবে কি-না সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: হাইকোর্ট

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবামৃত সংঘ- ইসকনের বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। ...

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন সেই বরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী

মানহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ...

ন্যূনতম খাদ্য গ্রহণে খরচ করতে হচ্ছে দারিদ্র্যসীমার ব্যয়ের চেয়ে প্রায় ৭০% বেশি

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে সুস্থভাবে জীবনধারণের জন্য প্রতিদিন যে পরিমাণ খাদ্যশক্তি (২ হাজার ১০০ ...

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণের পক্ষে নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণ বাংলাদেশের জন্য বিবেচনাযোগ্য বিকল্প নয় বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা প্রধান ল্যান্স ...